আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডিটেনশন ক্যাম্পে মুসলমান নারীদের আটকে রেখে বন্ধ্যা করে দিচ্ছে চীন। ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ছাড়া পাওয়া একাধিক নারীর সঙ্গে কথা বলে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও জাপানের নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।
প্রভাবশালী ওই গণমাধ্যম দুটি গুলবাহার জেলিলোভা নামের এক নারীর বরাতে জানায়, আমাদের শরীরে প্রায়ই ইনজেকশন পুশ করতেন তারা।
তিনি জানান, সুদূর পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নামে এই আটক রাখার ক্যাম্পগুলোতে এক বছরেরও বেশি সময় তাকে বন্দী রাখা হয়েছিল।
গুলবাহার আরো জানান, দরজার একটি ছোট্ট ফাঁক দিয়ে আমাদের হাত বাইরে বের করে দিতে হয়েছে। ইনজেকশন দেয়ার পর শীঘ্রই বুঝতে পারলাম যে আমাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আটক হওয়ার পর অধিকাংশ সময় ১০ থেকে ২০ ফুটের একটি ছোট্ট ঘরে অর্ধশতাধিক নারীর সঙ্গে কাটাতে হয়েছে ৫০ বছর বয়সী এই নারীকে। এতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে তাদের দিন যাপন করতে হয়েছে।
এছাড়া, জাপানের টোকিওতে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি অনুষ্ঠানে ভিডিও কলে ৩০ বছর বয়সী এক যুবতীও এ তথ্য দিয়েছেন।
মেহেরগুল তুরসুন নামের ওই উইঘুর নারী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। ২০১৭ সালে তিনি যখন ক্যাম্পে অন্তরীণ ছিলেন, তখন তাকে অজ্ঞাত ওষুধ ও ইনজেকশন দেয়া হয়েছে।
মেহেরগুলের বরাত দিয়ে ওই বলেন, আমি সপ্তাহখানেক ধরে ক্লান্ত বোধ করেছি। স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছি এবং বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম। মানসিক রোগী হিসেবে শনাক্ত হলে চার মাস পর আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।