জুমবাংলা ডেস্ক : বৃহস্পতিবার যশোরে ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮২২ জন। যা খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে সবেচেয়ে বেশি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর চিকিৎসা চলেছে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। বাকীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সারাদেশের তুলনায় যশোর জেলায় কেন এত ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
এ প্রসঙ্গে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ভৌগলিক কারণে যশোর জেলার অবস্থান ভাল জায়গায়। এই জেলার ওপর দিয়ে অন্যান্য জেলায় সহজে যাতায়াত করা যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল। সহজেই যশোরের সরকারি, বেসরকারি হাসাপাতালে এসে রোগীরা সেবা নিতে পারছেন। বেশি সংখ্যা মানুষ চিকিৎসা সেবার আওতায় আসায় রোগীও সনাক্ত হচ্ছে বেশি।
তিনি বলেন, যশোর সদর কিংবা উপজেলার সঙ্গে সব জনপদের যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে। দুর্গম অঞ্চল নেই। এজন্য বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসা সেবার আওতায় এসেছে। যা খুলনা বিভাগের অনেক জেলায় নেই। এজন্য অন্যান্য জেলার তুলনায় যশোরে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে। আক্রান্তের হার কমলেও ঈদের ছুটিতে জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (রোগ নিয়ন্ত্রণ) সূত্র জানায়, ২২ আগস্ট পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় তিন হাজার ১৫১ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি যশোরে ৮২২ জন জন।
এছাড়া খুলনায় ৬৪৯ জন, কুষ্টিয়ায় ৪৭৭ জন, সাতক্ষীরায় ২৯২ জন, নড়াইলে ২০৭ জন, ঝিনাইদহে ২০৫ জন, মাগুরায় ১৭৬ জন, বাগেরহাটে ১৩৩ জন, মেহেরপুরে ১০৩ জন ও চুয়াডাঙ্গায় ৮৭ জন সনাক্ত হয়েছে।
এরমধ্যে বর্তমানে যশোরে ১৭৭, খুলনায় ৯৫, বাগেরহাটে ১৭, সাতক্ষীরায় ৫২, ঝিনাইদহে ২৯, মাগুরায় ২৪, নড়াইলে ২৯, কুষ্টিয়ায় ৭০, চুয়াডাঙ্গায় ৪ ও মেহেরপুরে ৭ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, রোগী বেশি হলেও চিকিৎসায় কোনো সমস্যা নেই। রোগ নির্ণয়ের পর্যাপ্ত উপকরণ মজুদ আছে। চিকিৎসকরাও আন্তরিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।