জুমবাংলা ডেস্ক : নিশ্ঠুরতা কি তা আরেকবার দেখলো সমাজ। রাতে ঘুমিয়ে ছিল নিষ্পাপ মুখ নিয়ে। কে জানতো তার জন্য অপেক্ষা করছিল ভয়াবহ, বিভৎস একটা ঘটনা। তাও আবার নিজ জন্মদাতা পিতার কোলের উপর। কতটা নরপিশাচ বা পৈশাচিক মানুষিকতার হলে এমন করতে পারে একবার ভাবুন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় জানা যায় লোমহর্ষক এই খুনের কাহিনী। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। তার ভাষ্য মতে তুহিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বাবা ও চাচা।
বাবার কোলের উপরে জবাই করা হয়: রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে বাবার কোলে রেখেই চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারসহ অন্যরা মিলে তুহিনকে খুন করেন। পরে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
যেভাবে পাওয়া যায় তুহিনকে: গত রবিবার রাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তার লাশ রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি যৌনাঙ্গটিও কেটে ফেলা হয়।
হত্যার ঘটনায় সুনামগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তুহিনের চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার। আদালতে হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।