জুমবাংলা ডেস্ক : আইনী চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে ২.০ শতাংশ প্রদানের সরকারের পদক্ষেপকে নজিরবিহীন উদাহরণ হিসাবে বর্ণনা করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ জাতীয় সুবিধা কোনও দেশে নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২.০ শতাংশ উদ্দীপনা সরবরাহের মূল লক্ষ্য হলো আইনী চ্যানেলের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করা।
সম্প্রতি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্য থেকে রেমিট্যান্স ইনসেসাইজাইজিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাইলস্টোন ইনিশিয়েটিভস শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী এই বর্ণনা দিয়ে আসেন।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০ টিরও বেশি রেমিট্যান্স প্রেরক সংস্থার প্রতিনিধিরা ওই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীর সাথে মতবিনিময় করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশীরা আইনী চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছানুসারে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করতে পারবেন এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ উভয় সরকারই এই বিষয়ে কোনও প্রশ্ন উত্থাপন করবে না। যদি কোনও একক রেমিট্যান্সের লেনদেন ১৫০০ ডলার এর সীমা অতিক্রম না করে।
বরং প্রেরণকারীদের ২.০ শতাংশ উদ্দীপনা সরবরাহ করা হবে। এর জন্য সরকার ইতিমধ্যে ৩০.৬০ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করেছে।
মুস্তফা কামাল আরও জানান, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রেরণে তাদের সুযোগসুবিধা নজরদারি রাখতে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে প্রবাসী ও সংস্থা প্রবাসী বাংলাদেশি পাঠানো সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রতি বছর সম্মানিত হবে এবং লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন ২০২০ সাল থেকে এই সম্মান প্রদান করবে।
তিনি এইটাতেও আশাবাদী যে, রেমিট্যান্সের বিষয়ে ২.০ শতাংশ কার্যকর করার ফলে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ পরবর্তী বছরে রেকর্ড সংখ্যায় উন্নীত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।