জুমবাংলা ডেস্ক: রাতভর অভিযান শেষে র্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটির৩৩ নং ওয়ার্ডের (মোহাম্মদপুর) কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে।
শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বন্ধুর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজীবকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম তার নিজ বাসভবন এবং পরবর্তীতে দাপ্তরিক কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এদিন দিবাগত রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এসময় রাজীবের ব্যক্তিগত ‘সহকারী’ সাদেকুর রহমান সাদেককে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের ‘কথিত’ ছেলে রাজীব। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রাজত্ব গড়ে তুলেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, খুন, কিশোর গ্যাং, মাদক ও ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে।
এসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বসুন্ধরা এলাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে ৮ নম্বর সড়কের ৪০৪ নং বাসায় অভিযান চালায় র্যাব-১। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়। সেটি ছিল তার বন্ধুর বাসা। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি।
ওই বাড়িতেই রাজীবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাইজিং সোসাইটির ১ নম্বর রোডে ৩৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব-২। তবে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। সবশেষ তার কাউন্সিলর কার্যালয়ে তল্লাশি চালান র্যাব সদস্যরা। অবশেষে তাকে র্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলছে। এসময়ে গডফাদারসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাসিনোয় অভিযান চালিয়ে ২০১ জনকে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।