বিনোদন ডেস্ক : আজ শুক্রবার সকাল থেকেই বেশ কঠোর নিরাপত্তার সাথে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ চলচিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত আছেন প্রতিদ্বন্দিরা।শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এতোদিন একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলেও ভোটের মাঠে এসে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র…
প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি এই দুই প্রার্থীকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ২ টার দিকে একসঙ্গে দেখা গেলো শিল্পী সমিতির সামনে। দুজনই বেশ হাস্যোজ্জ্বল। আড্ডায় মেতে আছেন তারা। বোঝা যাচ্ছিল তারা না কতদিনের ভালো বন্ধু!
অবশ্য মিশা সওদাগর বন্ধু সম্বোধন করেই মৌসুমীকে নিয়ে বললেন, সে আমার বন্ধু। দীর্ঘদিন একই জায়গায় কাজ করছি। বহু ছবিতে একসাথে অভিনয় করেছি। সে জয়ী হলে আমি তাকে সহযোগীতা করবো।
মিশা আরও বলেন, নির্বাচন, সমিতি বড় কথা নয়। আমরা শিল্পী এটাই বড় কথা।
এদিকে এফডিসি ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে জৈষ্ঠ্য শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক হেনস্থার বিষয়ে মিশাকে জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, আমরা এফডিসির এমডি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সদস্য, সমিতির নেতারা মিলে মিটিং করি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় প্রতিটি সংগঠনের কার্ড থাকলে তিনি ঢুকতে পারবেন। কিন্তু ভোটের দিনে এসে কেন এই হেনস্থা তা আমার জানা নেই। তবে সার্বিকভাবে সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশিভাগ নিশ্চিত হয়ে মিশা বলেন, এতদিন ধরে শিল্পীদের জন্য কাজ করেছি। শতভাগ না হলেও আশিভাগ নিশ্চিত আমি জয় পাব।
পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মৌসুমী। এসময় জয় পরাজয় নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দুজনের যে-ই জয়ী বা পরাজিত হই না কেন, শিল্পীদের জন্য কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করবো।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
এবার সমিতির ২১টি পদের মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে ১৮টি পদের। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বাকি তিন পদের প্রার্থীকে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।