জুমবাংলা ডেস্ক : মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারেনি সবশেষ ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট। উল্টো এই এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে বৈধভাবে মালয়েশিয়া গিয়েও কর্মসংস্থান মেলেনি বহু বাংলাদেশী কর্মীর। বরং নতুন করে অবৈধ হয়েছেন অনেকেই।
নির্দিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে কর্মী পাঠালে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে শৃঙ্খলা ফিরবে, এমন যুক্তিতে ২০১৭ সালে বাজার দখলে নেয় একটি সিন্ডিকেট। বাংলাদেশ ও মালয়োশিয় সরকারের মধ্যে স্থাপিত হয় জিটুজি প্লাস চুক্তি। এ চুক্তি অনুসারে মালয়েশিয়ান কোম্পানি সিনা প্লেক্সের সাথে সিন্ডিকেট করে লোক পাঠাচ্ছে বাংলাদেশের ১০ কোম্পানি।
এর ফলে কর্মী পাঠানো থেকে বঞ্চিত হয় অন্য সব রিক্রটিং এজেন্সি। একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগে কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয় এই সিন্ডিকেট। চক্রটির বিরুদ্ধে সরকারি খরচের বাইরে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৭শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে। যার ভিত্তিতে গত বছরের সেপ্টম্বর থেকে শ্রমবাজার বন্ধ করে মালয়েশিয়া সরকার।
২০১৭ সাল থেকে বাজার বন্ধের আগ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এই সিন্ডিকেটের আওতায় মালয়োশিয়া গেছেন ২ লাখ ২৫ হাজার শ্রমিক। যাদের বেশিরভাগই এখন ভালো নেই।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান বলেন, মানব পাচার এটাতো বন্ধ হয়েছে, অতীত নিয়ে আর সময় নষ্ট করতে চাই না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সরকার নির্ধারিত খরচে শ্রমিকরা যাতে বিদেশ যেতে পারে, আমরা তার ব্যবস্থা করবো।
শ্রমবাজার নিয়ে সরকারের এ নতুন স্বপ্ন কতটুকু আলোর মুখ দেখবে সেটা কারো জানা নেই । গত ১ বছরে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ থাকায় অন্তত ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ অভিযুক্ত এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।