অনিল চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনীরাম গ্রামের বাঘখাওয়ার চরে নির্মাণের তিন মাসেই ভেঙে পড়েছে ব্রিজ। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার লাখো মানুষ।
জানা গেছে, নির্মাণের তিন মাস যেতে না যেতে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় সরকারের গচ্চা গেছে প্রায় ৩১ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় রড ব্যবহার না করায় সেতুটি ভেঙে পড়েছে।
আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহার একদিন পূর্বে দুপুরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব ধনিরামে আবাসনগামী খালের উপর নির্মিত দুর্যোগ ও ত্রাণ বিভাগের ৪০’-০” দৈর্ঘ্যরে সেতুটি ভেঙে পড়ে। সেতুটির উইং ওয়াল মূল অংশ থেকে সরে যাওয়ায় ছাদ ভেঙে গিয়ে ধসে পড়ে। প্রাক্কলন অনুযায়ী রড বা সেমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। ধসে পড়া অংশ থেকে সরু রড বেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে সেতু দিয়ে কোনও যান বা মানুষ চলাচল করতে পারে না। এছাড়া সংযোগ সড়কের দুই পাশে মাটি দেওয়াও নেই। স্থানীয়ভাবে বাঁশের তৈরি খারাল থাকলেও তা চলাচল উপযোগী নয়। যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাই দ্রুত ব্রিজটি পুর্ননির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
কুড়িগ্রামের পুরাতন স্টেশনের এ টি এম দেলদার হোসেন টিটু নামের একজন ঠিকাদার সেতুটির নির্মাণ কাজ করেন। এটি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের গ্রামীন রাস্তায় কমবেশী ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু/কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প হলেও ছেড়ে দেওয়া হয় তিন মাস পূর্বে। যার প্রাক্কলিত মূল্য ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ১০ পয়সা।
স্থানীয় সেলিম, আব্দুর রহমান, আব্দুর রশিদ, শহর আলী, সেফাত আলী, দেলবর, জয়নাল, শাহালম, এনামুল ও মমিনুলসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সেতুটির কাজ যেনতেনভাবে শেষ করা হয়েছে। পূর্ব ধনীরাম আবাসনের ৯০টি পবিারসহ বাঘখাওয়ার চরের প্রায় ৫শ পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এখানকার মানুষগুলো দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ জুমবাংলাকে জানান, সেতুটি নির্মাণ প্রাক্কলন অনুযায়ী হয়নি। ফলে ধসে পড়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত জুমবাংলাকে জানান, সম্প্রতি বন্যায় সেতুটির নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আরেফিন জুমবাংলাকে জানান, ব্রিজটি বন্যায় নাকি নিন্ম মানের কাজের কারণে ভেঙে পড়েছে সেই বিষয়টি নিশ্চিত হবার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দিলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।