জুমবাংলা ডেস্ক : ঝালকাঠি সদর উপজেলার তেরআনা শাহমাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম কামাল হোসাইনের বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌ’ন নি’র্যাতন ও ধ’র্ষণের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই ছাত্রী লেখাপড়ার পাশাপাশি অধ্যক্ষ কামাল হোসাইনের বাসায় ৫ বছর যাবৎ গৃহপরিচারিকার কাজ করতো।
শনিবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ অধ্যক্ষ কামালের মেঝ ভাইয়ের বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসে। ঘটনার পর থেকে অধ্যক্ষ কামাল হোসাইন পলাতক। নি’র্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ১৫ আগস্ট দুপুরে কামাল হোসাইনের বাড়িতে ওই ছাত্রীকে ধ’র্ষণ করেন। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে আত্মগোপন করেন অধ্যক্ষ কামাল। পরবর্তীতে ধ’র্ষণের শিকার ছাত্রীকে কামালের মেঝ ভাই জামাল উদ্দিনের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী আরো জানায়, ওই দরিদ্র মেয়েটিকে বাসায় কাজে রাখার সুবাধে দীর্ঘদিন থেকে অধ্যক্ষ কামাল হোসাইন শারীরিক সর্ম্পক করে আসছিলেন। ১৫ আগস্ট দুপুরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের সময় অধ্যক্ষের স্ত্রী তা দেখে ফেলেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানান, মেয়েটি ৫ বছর যাবৎ মাদ্রাসা অধ্যক্ষ কামাল হোসাইনের বাসায় থেকে গৃহপরিচারিকার কাজ ও লেখাপড়া করতো। এ সুযোগে অধ্যক্ষ কামাল ওই ছাত্রীর সাথে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এব্যাপারে ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে অধ্যক্ষ কামাল হোসেনকে আসামি করে নারী ও শিশু নি’র্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারে জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
কয়েক বছর আগেও অধ্যক্ষ কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আলিমের এক ছাত্রীকে ধ’র্ষণের অভিযোগ উঠেছিলো। তখন বিষয়টি স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে ধামাচাপা দিতে সক্ষম হন অধ্যক্ষ কামাল। মাদ্রাসা সুপার প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকেই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।