আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে হংকং। বিক্ষোভকারীদের দমাতে হংকং পুলিশ শক্তি প্রয়োগ করলেও তাতে দমছেন না তারা। এবার চীন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগের ইঙ্গিত প্রদান করেছে। তবে চীনের এ ধরনের অভিযান পরিচালনা বড়ধরনের প্রাণহানি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
বুধবার চীনের আধাসামরিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত পিপলস আর্মড পুলিশের একটি বাহিনীকে শেনঝেন শহর থেকে রওনা হতে দেখা যায়। তাঁদের হাতে ছিল ব্যাটন ও ঢাল। ফলে স্পষ্টত তারা বিক্ষোভ দমাতেই প্রস্তুতি নিয়েছে। সুসজ্জিত সামরিক গাড়িতে চড়ে তারা জড়ো হয়েছে হংকং-এর অদূরে বে স্পোর্টস সেন্টারে।
বিক্ষোভকারীদের কড়া বার্তা দেওয়ার জন্যই চীন আধা সেনাদের হংকং সীমান্তে জড়ো করেছে বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও পিপলস আর্মড পুলিশ সত্যিই বিক্ষোভকারীদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়বে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। কারণ সামরিক ব্যবস্থা নিলে সেখানকার অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হবে।
চীনের পিপলস আর্মড পুলিশ হলো ১৫ লক্ষ সদস্যের এক আধাসামরিক বাহিনী। চীনের অভ্যন্তরে অশান্তি থামানোর জন্য তাদের পাঠানো হয়। ওই বাহিনী চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের অধীনে। তার শীর্ষে আছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
হংকং সহায়তা চাইলে সংবিধান মেনে সেখানে চীনের অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব। হংকং-এর নিজস্ব সংবিধানে বলা আছে, নগর প্রশাসন প্রয়োজনে চীনের গণফৌজের থেকে সাহায্য চাইতে পারে। গণফৌজের ৬ হাজার সৈনিক সব সময়েই হংকং-এ থাকে। তবে নগর প্রশাসন যদি সামাল দিতে না পারে তখনই চীনের সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া যেতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও হংকং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হংকং-এর অবস্থা এখনই হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বলা যাবে না। চীন সম্ভবত আধা সেনা জড়ো করে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে একটা বার্তা দিতে চাইছে। কিন্তু একইসঙ্গে ওই অফিসার বলেছেন, চীন যদি ইচ্ছা করে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হংকং-এ বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটাতে পারে।
গত জুন মাসে হংকং-এর একটি বন্দি প্রত্যর্পণ বিলকে ঘিরে শুরু হয়েছে অশান্তি। ওই বিল অনুযায়ী, হংকং-এ কেউ অপরাধ করলে চীনের মূল ভূখণ্ডে নিয়ে গিয়ে তার বিচার করা যাবে। তবে সেই বিল হংকংবাসীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করতে পারে ধারণা করে বিলটি প্রত্যাহারের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই বিল ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাতেও বিক্ষোভ থামেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।